স্বদেশ ডেস্ক: পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমানের কাছ থেকে নেওয়া ঘুষের ৪০ লাখ টাকা কোথায় রেখেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির, তা জানা যায়নি। এমন দাবি দুদক সচিব দেলোয়ার বখতের। ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুলাই মামলা হয়েছে। পরে বিকেলে এ বিষয়ে কথা বলেন দুদক সচিব। তিনি বলেন, ‘ঘুষের টাকা কোথায় রাখা হয়েছে জানা যায়নি বলেই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।’ দ-বিধির ১৬১/১৬৫ (ক)/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা।
প্রসঙ্গত, ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ১৫ জুলাই কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। আর ১০ জুলাই এ বিষয়ে আইনজীবী অ্যাডভোকেট কামাল হোসেনের মাধ্যমে দুদকে লিখিত বক্তব্য জমা দেন বাছির। মিজান ও বাছিরের ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় দুদকের অনুসন্ধান কমিটি গঠন হয় ১৩ জুন। তিন সদস্যের এ কমিটির প্রধান দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যাহ। অন্য দুই সদস্য হলেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান ও মো. সালাউদ্দিন। উল্লেখ্য, গত ৯ জুন মিজান-বাছিরের ঘুষ লেনদেনের কথোপকথনের একাধিক অডিও প্রকাশ করেন মিজান। এ বিষয়ে ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনও প্রকাশ ও প্রচার করা হয়।